আলফালফা টনিক এর কাজ কি - আলফালফা টনিক এর দাম কত

আলফালফা টনিক এর কাজ কি

আলফালফা টনিক একটি প্রাকৃতিক ভেষজ খাদ্য সম্পূরক যা মূলত শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ, শক্তি বৃদ্ধি এবং সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। এটি মূলত আলফালফা উদ্ভিদ থেকে তৈরি হয়, যেটি ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন এবং এনজাইম সমৃদ্ধ। বহু বছর ধরে এটি হোমিওপ্যাথিক এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসায় একটি জনপ্রিয় টনিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

alfalfa tonic সাধারণত ক্ষুধা বাড়াতে, হজম শক্তি উন্নত করতে এবং শারীরিক দুর্বলতা কমাতে ব্যবহৃত হয়। যেসব মানুষ অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া বা দুর্বল হজমশক্তির কারণে শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করেন, তাঁদের জন্য এটি উপকারী হতে পারে। এটি রক্তের হিমোগ্লোবিন মাত্রা বৃদ্ধিতেও সহায়ক, ফলে রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করে।

আলফালফা টনিক এর কাজ কি - আলফালফা টনিক এর দাম কত
আলফালফা টনিক এর কাজ কি - আলফালফা টনিক এর দাম কত

এছাড়াও alfalfa tonic টনিক শরীরের ক্লান্তি দূর করে মানসিক অবসাদ হ্রাসে সাহায্য করতে পারে। এটি স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং ঘুমের গুণগত মান উন্নত করতে পারে। অনেকে এটি শিশুরা, বয়স্ক ব্যক্তি এবং অপুষ্টিতে ভোগা রোগীদের জন্য একটি নিরাপদ টনিক হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন।

সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি একটি প্রাকৃতিক টনিক হওয়ায় এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই কম। তবে যেকোনো টনিক ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। সঠিক মাত্রায় ও নিয়মিত ব্যবহার করলে আলফালফা টনিক শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

আলফালফা টনিক এর দাম কত

বাংলাদেশে আলফালফা টনিকের দাম ব্র্যান্ড, প্যাক সাইজ এবং প্রস্তুতকারকের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। নিচে কিছু জনপ্রিয় আলফালফা টনিকের দাম উল্লেখ করা হলো:

  • Dr. Reckeweg R95 Alfalfa Tonic (100ml): প্রায় ৳550
  • Dr. Reckeweg R95 Alfalfa Tonic (500ml): প্রায় ৳2,300 
  • Bakson Alfalfa Tonic (450ml): প্রায় ৳750 
  • Pekana Alfalfa Tonic (500ml): প্রায় ৳2,200 

এই টনিকগুলো সাধারণত হোমিওপ্যাথিক দোকান, অনলাইন স্টোর এবং ফার্মেসিতে পাওয়া যায়। দাম এবং উপলভ্যতা স্থানীয় বাজার এবং সরবরাহের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। ক্রয় করার আগে স্থানীয় দোকান বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দাম যাচাই করা উচিত।

আলফালফা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

আলফালফা সিরাপ সাধারণত খাওয়ার আগে ও পরে দিনে ২-৩ বার সেবন করা হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিবার ১-২ চা চামচ এবং শিশুদের জন্য ১/২ থেকে ১ চা চামচ যথেষ্ট। খাবারের আধা ঘণ্টা আগে বা পরে খাওয়াই উত্তম। এটি সরাসরি বা পানিতে মিশিয়ে খাওয়া যায়। 

নিয়মিত সেবনে ক্ষুধা বৃদ্ধি, শরীরের দুর্বলতা দূরীকরণ এবং হজম শক্তি উন্নত হয়। তবে বয়স, শারীরিক অবস্থা এবং প্রয়োজন অনুসারে ডোজ পরিবর্তন হতে পারে। সঠিক মাত্রায় সেবনের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।

আলফালফা হোমিওপ্যাথি এর দাম ও উপকারিতা

আলফালফা হোমিওপ্যাথি একটি জনপ্রিয় প্রাকৃতিক টনিক যা শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা দূর করতে সহায়ক। এটি সাধারণত সিরাপ বা ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায় এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি, হজম শক্তি উন্নয়ন, ক্লান্তি দূরীকরণ ও শরীরের ওজন বাড়াতে কার্যকর। শিশু, বয়স্ক ও অপুষ্টিতে ভোগা রোগীদের জন্য এটি একটি নিরাপদ ও কার্যকর টনিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

আলফালফা হোমিওপ্যাথির দাম ব্র্যান্ড ও বোতলের আকার অনুযায়ী ভিন্ন হয়। সাধারণত ১০০ মি.লি. বোতলের দাম প্রায় ৳৫০০-৳৭০০ এবং ৪৫০-৫০০ মি.লি. বোতলের দাম প্রায় ৳১২০০-৳২৩০০ পর্যন্ত হতে পারে। জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে Dr. Reckeweg, Bakson, ও SBL।

এই টনিক নিয়মিত ও সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করলে শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা ও শক্তি বৃদ্ধিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

আলফালফা সিরাপ খেলে কি ক্ষতি হয়

আলফালফা সিরাপ সাধারণত নিরাপদ হলেও অতিরিক্ত সেবনে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন: অ্যালার্জি, মাথাব্যথা, হজমের সমস্যা বা পেট ফাঁপা। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সিরাপে থাকা চিনি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যাদের অটোইমিউন রোগ (যেমন লুপাস) আছে, তাঁদের জন্য আলফালফা কখনো কখনো ক্ষতিকর হতে পারে। 

এছাড়া গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী নারীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। দীর্ঘমেয়াদে অতিরিক্ত গ্রহণে হরমোনের ভারসাম্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট মাত্রায় সেবন করাই নিরাপদ ও উপকারী।

আলফালফা সিরাপ খেলে কি মোটা হয়

আলফালফা syrup সরাসরি মোটা করে না, তবে এটি ক্ষুধা বাড়ায় এবং হজম শক্তি উন্নত করে, ফলে খাবারের গ্রহণ ও পুষ্টির শোষণ বৃদ্ধি পায়। এই কারণে অনেকে নিয়মিত সেবনের ফলে ওজন বৃদ্ধি লক্ষ্য করেন, বিশেষ করে যাঁরা আগে অপুষ্টিতে ভুগতেন বা খুব কম খেতেন। 

এটি শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে এবং দুর্বলতা দূর করে, যার ফলে ধীরে ধীরে শরীর ভরাট ও সুস্থ দেখায়। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে পরিমিত খাদ্য ও ব্যায়ামের সমন্বয় জরুরি। অতিরিক্ত গ্রহণ বা অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এড়ানো উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করাই নিরাপদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post